চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর হতে সীমান্তবর্তী মনাকষা পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ৪০০ কেভি ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নির্মাণকাজ শুরু করেছে পাওয়ার গ্রীড কোম্পানী অব বাংলাদেশ লিঃ (পিজিসিবি)। ভারতের ঝাড়খন্ডে নির্মিতব্য বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদিত বিদ্যুৎ এ লাইনের মাধ্যমে আমদানি করা হবে। সোমবার (২৫ নভেম্বর ২০১৯খ্রিঃ) পিজিসিবি’র প্রধান কার্যালয়ে কাজটির জন্য ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ট্রান্সস্রেইল লাইটিং লিঃ এর সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে পিজিসিবি।
পিজিসিবি এবং ট্রান্সস্রেইল’র মধ্যে স্বাক্ষরিত এ কাজের চুক্তিমূল্য ১৭৪ কোটি টাকা (প্রায়)। বাংলাদেশ সরকার এবং পিজিসিবি নিজস্ব অর্থায়নে এ কাজ সম্পন্ন করবে।
অনুষ্ঠানে পিজিসিবি’র পক্ষে কোম্পানী সচিব (অতিঃ দায়িত্ব) মোঃ জাহাঙ্গীর আজাদ এবং ট্রান্সস্রেইল’র পক্ষে সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সঞ্জীব শিকেরকার চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন। চুক্তিতে বলা হয়, আগামী ১৮ মাসের মধ্যে টার্নকী পদ্ধতিতে কাজটি সম্পন্ন করে সঞ্চালন লাইন পিজিসিবি’র কাছে হস্তান্তর করতে হবে।
ভারতের ঝাড়খন্ডে আদানী গ্রুপ ১,৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছে। এই বিদ্যুৎ বাংলাদেশ সীমান্ত হতে রহনপুর পর্যন্ত আনতে বাংলাদেশ সরকার ও পিজিসিবি’র অর্থায়নে ২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। এই লাইনে বিদ্যুৎ রহনপুর পর্যন্ত আনা হবে। রহনপুর হতে এ বিদ্যুৎ বগুড়া হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সঞ্চালন করতে ১০৪ কিলোমিটার পৃথক আরেকটি ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হচ্ছে।
চুক্তি স্বাক্ষরপর্বে পিজিসিবি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম কিবরিয়া, নির্বাহী পরিচালক শেখ রিয়াজ আহমেদ, প্রকল্প পরিচালক মোঃ শফিউল্লাহ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবদুর রশিদ খান, ট্রান্সস্রেইল’র চীফ ম্যানেজার নিখিল মাঞ্জেরেকার ও প্রজেক্ট ম্যানেজার সিদ্ধার্থ বোস সহ উভয়পক্ষে উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।