বৃহত্তর খুলনা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে হাইভোল্টেজ বিদ্যুৎ সঞ্চালনের সক্ষমতা বাড়াতে নতুন ছয়টি গ্রিড উপকেন্দ্র নির্মাণ এবং পাঁচটি গ্রিড উপকেন্দ্রে সম্প্রসারণ কাজ করছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিঃ (পিজিসিবি)। এসব কাজের জন্য চীনের দুটি পৃথক যৌথ উদ্যোগ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে।
করেরহাটে একটি নতুন ৪০০/২৩০/১৩২ কেভি ইনডোর জিআইএস গ্রিড উপকেন্দ্র এবং মিরসরাইয়ে বিদ্যমান ২৩০/৩৩ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্রকে ৪০০/২৩০ কেভি ইনডোর জিআইএস সক্ষমতায় উন্নীতকরণের লক্ষ্যে সোমবার চায়না ন্যাশনাল টেকনিক্যাল ইমপোর্ট এন্ড এক্সপোর্ট করপোরেশন (CNTIC) ও সাংহাই ইলেকট্রিক কোম্পানি (SEC) যৌথ উদ্যোগ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। পিজিসিবি’র পক্ষে কোম্পানি সচিব মোঃ জাহাঙ্গীর আজাদ এবং যৌথ উদ্যোগের পক্ষে সিএনটিআইসি’র উপ-মহাব্যবস্থাপক ঝ্যাং কুন (Zhang Kun) চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন। করেরহাটে নতুন উপকেন্দ্র নির্মাণ এবং মিরসরাইয়ে উপকেন্দ্রের সক্ষমতা বৃদ্ধির এ কাজে ব্যয় হবে ৭৩৬ কোটি টাকা (প্রায়)। চুক্তি অনুযায়ী, আগামী ৩০ মাসের মধ্যে কাজ শেষ করে উপকেন্দ্রগুলো পিজিসিবি’র কাছে হস্তান্তর করবে যৌথ উদ্যোগ প্রতিষ্ঠান।
এর আগে রোববার পিজিসিবি প্রধান কার্যালয়ে চীনের প্রতিষ্ঠান চায়না মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন (CMEC) ও চায়না ন্যাশনাল ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিঃ (CNEEC) যৌথ উদ্যোগ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আরেকটি চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়। এই চুক্তির আওতায় রূপসা ২৩০/১৩২/৩৩ কেভি জিআইএস গ্রিড উপকেন্দ্র এবং মেহেরপুর, মহেশপুর, ফুলতলা ও মনিরামপুরে ১৩২/৩৩ কেভি ক্ষমতাসম্পন্ন চারটি গ্রিড উপকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। পাশাপাশি সাতক্ষীরা, কালিগঞ্জ (যশোর) ও কুষ্টিয়ায় বিদ্যমান গ্রিড উপকেন্দ্রে ১৩২ কেভি বে এবং বাগেরহাট উপকেন্দ্রে ১৩২ কেভি জিআইএস বে সম্প্রসারণ করা হবে। এ কাজে ব্যয় হবে ৪৯২ কোটি টাকা (প্রায়)। পিজিসিবি’র পক্ষে কোম্পানি সচিব মোঃ জাহাঙ্গীর আজাদ এবং যৌথ উদ্যোগ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সিএনইইসি’র উপ-মহাব্যবস্থাপক গে উইনবো (Ge Wenbo) চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন। চুক্তি অনুযায়ী, আগামী ২৪ মাসের মধ্যে কাজ শেষ করে উপকেন্দ্রগুলো পিজিসিবি’র কাছে হস্তান্তর করবে যৌথ উদ্যোগ প্রতিষ্ঠান।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে পিজিসিবি’র নির্বাহী পরিচালক (পিএন্ডডি) মোঃ ইয়াকুব ইলাহী চৌধুরী, প্রকল্প পরিচালকবৃন্দ সহ উভয়পক্ষের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।